সংবিধানের ধারা ৩২৪ এবং নির্বাচন কমিশন. . . . . . . . . - Benami Diary

Thursday, May 16, 2019

সংবিধানের ধারা ৩২৪ এবং নির্বাচন কমিশন. . . . . . . . .


স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে সম্ভবত প্রথমবার, নির্বাচন কমিশন কোনো রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিবকে পদ থেকে সরিয়ে দিলেন। প্রধানত নির্বাচনের কাজে হস্তক্ষেপের অভিযোগেই এই পদক্ষেপ বলে কমিশন সূত্রে জানা যাচ্ছে।নির্বাচন কমিশনের সাংবাদিক বৈঠক থেকে এও জানানো হল যে সংবিধানের ৩২৪ নম্বর ধারা প্রয়োগ করে সম্ভবত প্রথমবার এই ধরনের কাজ করা হল। অনেকের মনেই একটি প্রশ্ন লয়েছে যে এই ৩২৪ নম্বর ধারাটি কী এবং কেনই বা তা এত গুরুত্বপূর্ন।
*৩২৪ নম্বর ধারায় নির্বাচনকালীন সময়ে নির্বাচন তদারকী, নির্বাচন বিষয়ে নির্দেশাবলী প্রদান এবং তার নিয়ন্ত্রন বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

১। প্রথম অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ভারতের লোকসভা, প্রতিটি রাজ্যের বিধানসভা, রাষ্ট্রপতি এবং উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে নির্বাচক তালিকা প্রস্তুত এবং নির্বাচন পরিচালনার সমূহ দায়িত্ব একটি কমিশনের ওপর ন্যাস্ত হবে যা, ভারতের নির্বাচন কমিশন রূপে পরিচিত হবে।
২। দ্বিতীয় অনুচ্ছেদে বলা হয়ছে, নির্বাচন কমিশন একজন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং কয়েকজন নির্বাচন কমিশনার (সংখ্যা উল্লেখ নেই) দ্বারা গঠিত হবে। এঁদের নিয়োগ করবেন রাস্ট্রপতি, এবং নিয়োগ  সংক্রান্ত আইন আইনসভা কতৃক নির্ধারিত হবে।
৩। পরবর্তী অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হবেন।
৪। ভারতের প্রতিটি লোকসভা নির্বাচন, রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন, রাজ্যের প্রথম বিধান পরিষদ (যে রাজ্যে রয়েছ) ও পরবর্তী দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনের  প্রাক্কালে প্রয়োজন পড়লে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে রাষ্ট্রপতি আঞ্চলিক কমিশনার হিসেবে এক বা একাধিক ব্যাক্তিকে নিয়োগ করতে পারেন, যাঁর কাজ হবে নির্বাচন কমিশনকে ১ নম্বর অনুচ্ছেদে বর্নিত কাজে সাহায্য করা।
৫। সংসদ কর্তৃক প্রদত্ত কোন আইন সাপেক্ষে, নির্বাচন কমিশনার ও আঞ্চলিক কমিশনারের কার্যালয় এবং কার্যধারার শর্তাবলী রাষ্ট্রপতি নির্ধারন করবেন ; এই শর্তে যে, প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে তার পদ থেকে অপসারণ করা হবে না এবং সুপ্রীম কোর্টের বিচারক এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনারের চাকরীর মত একই ভিত্তিতে তার নিয়োগের পর তার অসুবিধা থেকে ভিন্ন হবে না: তবে শর্ত থাকে যে, অন্য নির্বাচন কমিশনার বা আঞ্চলিক কমিশনারকে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সুপারিশ ব্যতিরেকে অফিস থেকে অপসারণ করা হবে না।
৬। রাষ্ট্রপতি এবং প্রতিটি রাজ্যের রাজ্যপাল, কমিশনের অনুরোধসাপেক্ষে তাঁর কর্মচারীদেক(কেন্দ্রীয় সরকারী ও রাজ্য সরকারী কর্মীগন) নির্বাচন কমিশন বা আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশনারের কাছে হস্তান্তর করবেন যাতে অনুচ্ছেদ ১ এ বর্নিত দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করা যায়।
এক্ষেত্রে কলকাতার প্রাক্তন নগরপাল রাজীব কুমার এবং পশ্চিমবঙ্গের সদ্য প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রসচিব অত্রি ভট্টাচার্যের অপসারন শেষোক্ত অনুচ্ছেদটি মোতাবেক করা হয়েছে বলেই অনুমেয়। এবং এই ধারা ৩২৪ এ ভারতের নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচনকালীন পরিস্থিতিতে অবাধ শান্তিপুর্ন নির্বাচন পরিচালনার জন্য সমূহ ক্ষমতা ন্যাস্ত করা হয়েছে।
মুল নিবন্ধটি এই লিঙ্কে প্রকাশিত হয়েছে। এটি তারই অন্য একটি কপি।

No comments:

Post a Comment