জামানত জব্দ বা বাজেয়াপ্ত মানে কী? - Benami Diary

Saturday, June 1, 2019

জামানত জব্দ বা বাজেয়াপ্ত মানে কী?

অভিনন্দন রানা- নির্বাচনের পর আমরা প্রায়ই শুনি অমুক প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে , বা উনি জামানত রাখতে পারেননি। আর এই নির্বাচনের ফলের পর তো রীতিমতো চর্চার বিষয় হয়ে গেছে বামেদের ৪১টি আসনে জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার বিষয়টি। আসলে এই জমানত বাজেয়াপ্ত হওয়াটি কী?
আমরা সকলেই জানি যে ২৫ বছর বয়স হলেই ভোটে লড়াই করা যায়। কোনও দল মনোনয়ন না দিলেও দশজন প্রস্তাবক নিয়ে রিটার্নিং অফিসারের দফতরে যান।আর মনোনয়ন পত্র জমা দিয়ে ভোটে লড়ুন। কীন্তু না, বিষয়টি এতটাও সহজ নয়। নির্বাচনে লড়ার জন্য আপনাকে একটি নির্দিষ্ট পরিমান টাকা জমা রাখতে হয় রিটার্নিং অফিসারের কাছে। যা আদতে জমা পড়ে নির্বাচন কমিশনের ঘরে। এই টাকার অঙ্কটি লোকসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে সাধারন আসনে ২৫০০০ টাকা, তপশিলি জাতি সংরক্ষিত আসনে ১২৫০০টাকা এবং তপশিলি উপজাতি সংরক্ষিত আসনে ৫০০০ টাকা। বিধানসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে পরিমানটা হল সাধারন আসনের জন্য ১০০০০ টাকা এবং সংরক্ষিত (তপশিলি জাতি এবং উপজাতি উভয়) আসনের ক্ষেত্রে ৫০০০ টাকা জমা রাখতে হয়। এবার জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার অর্থ হল, যে কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হচ্ছেন, সেই কেন্দ্রের মোট বৈধ ভোটের এক ষষ্ঠাংশ ভোট না পেলে জমা রাখা অর্থ বাজেয়াপ্ত হবে। এটিকেই জামানত জব্দ হওয়া বলে। ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত হওয়া লোকসভা নির্বাচনগুলিতে জামানতের পরিমান ছিল অসংরক্ষিত আসনের জন্য ৫০০ এবং সংরক্ষিত আসনের জন্য ২৫০ টাকা। ১৯৯৬ সালের আগেকার বিধানসভা নির্বাচনের জন্য জামানত ছিল অসংরক্ষিত আসনের জন্য ২৫০ টাকা ও সংরক্ষিত আসনের জন্য ১২৫ টাকা।
জমানত রাখার রসিদ


এবার একটু অন্য প্রসঙ্গে আসি। রমেশ কুমার শর্মা কে চেনেন? না চেনারই কথা। তিনি এই নির্বাচনে বিহারের পাটলিপুত্র থেকে নির্দল প্রার্থী হয়েছিলেন।১৫৫৮ টি ভোট পেয়ে,  তিনিও জামানত খুইয়েছেন। তো কী? তিনিই ছিলেন এই নির্বাচনের সবচেয়ে ধনী প্রার্থী। কত টাকার মালিক? মাত্র ১১০৭ কোটি টাকা।

আমার এই লেখাটি নিউজপোলেও প্রকাশ হয়েছে

No comments:

Post a Comment