পুলিশের গু খেয়ে বকের মৃত্যু - Benami Diary

Friday, September 21, 2018

পুলিশের গু খেয়ে বকের মৃত্যু

পুলিশের গু খেয়ে বকের মৃত্যু
না আজ জোকস লিখতে বসিনি। জোকস লেখার মতো মানসিক অবস্থায় নেই। পুলিশের হাতে কী জন্য বন্দুক দেওয়া হয়? বেলুন ফাটাতে? অবশ্যই গুলি চালাতে। তবে পুলিশের হাত থেকে গুলি চলাটা অস্বাভাবিক নয়।আর গুলি চললে সামনে যেই আসবে সেই মরবে।এ নিয়ে বাপু এত কথা হওয়ার কী আছে ?
আর ঘটনাটাই বা এমন কী?  শিক্ষক চেয়ে ছাত্রদের আন্দোলন তাই তো? আরে বাবা সরকারের টাকার অভাব এখন শিক্ষক চাইলেই দেওয়া যায় নাকী? আর ক্লাব, খেলা, মেলা পুজো, ইমাম, পুরোহিত এদের আগে টাকা দেবে নাকী শিক্ষক দেবেন।
যত্তসব।
হ্যাঁ এটাই ঘটনা।পুলিশ চিরকালই ছিল দলদাস, সে কংগ্রেস আমলে শুরু,  আর বাম আমলের কথা নাই বা বললাম, কারন বলা শুরু করলে শেষ হবেনা।কীন্তু এই আমলে?  নাহ আমরা সকলেই পরিবর্তন চেয়েছিলাম শুধু এই সিস্টেমটা পরিবর্তনের জন্য।পুলিশ মেরুদন্ড বিকিয়ে দলদাস, সে আজ শাসকের ভৃত্যে রূপান্তরিত।হ্যাঁ পুলিশ পঞ্চায়েত জেতাবে , সেই পুলিশই আবার তোলা তুলে দেবে দলের তহবিলে।নির্লজ্জের মতো হাত পেতে ভিক্ষা করবে হাইওয়ের ধারে।তারপর এই এত লেবারী করে যখন নিজের ওপর ধিক্কার আসবে কী করবে?  ছাত্র পেটাবে, খুন করবে এই তো পারে ওরা।হ্যাঁ নিরস্ত্র ছাত্রের ওপর গুলি চালাতে পারে। হ্যাঁ এই না হলে পুলিশ।
চিরদিনই জলপাই পোষাকের ওপর ভয়ংকর এক শ্রদ্ধা রয়েছে।খড়গপুরের উপকন্ঠে থাকার কারনে বিভিন্ন রকম উষ্ণ পরিস্থিতিতে ই.এফ. আর.  জওয়ানদের সামনে থেকে পরিস্থিতি সামলানো দেখে শ্রদ্ধা আরও বেড়েছে।আচ্ছা একটা কথা বলুন না পুলিশ কারা হয়?  যারা ঠিক সেনা আধাসেনায় ফেল মারে তারাই হয়।অবশ্য হওয়ার পর বোলচালে তাদেরও ওপর যায়।এরা কীন্তু আদতে বিশ্ব ভীতু।দম থাকলে সীমান্তে গিয়ে গুলি চালাক।দুটো সন্ত্রাসবাদী মরবে।তা নয় আড়ালে দাঁড়িয়ে ছাত্র মারবে।
এবার প্রসঙ্গে ফিরি।আচ্ছা এই দুই মৃত্যু কেন?  শিক্ষক চেয়ে তাইতো?  এই কথাটা বলুনতো ঐ দাড়িভিট হাইস্কুল কী উর্দু মাধ্যম স্কুল? আমি জানিনা কারন wbbse.org তে affilated schools এর পেজটি উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। একটা এমন পরিবারে থাকি আমি যাদের প্রায় তিন পুরুষ শিক্ষকতায় যুক্ত তাই পশ্চিমবঙ্গের স্কুলগুলির কী অবস্থা তা অজানা নয়।আর এই বাংলার শমক্ষক চেয়ে আন্দোলন সত্যিই প্রমান করে এলাকারমানুসষ বাংলা শিখতে চান।সুতরাং এই চাপিয়ে দেওয়া উর্দু শিক্ষক যা কীনা তোষনের এক অন্যতম অংশ তার বিরোধিতা করতে গিয়ে ছাত্রের মৃত্যু বুঝিয়ে দিল আজ বাংলার অবস্থাটি সত্যিই কী।
পরিশেষে এটুকুই বলতে চাই যে একজন শিক্ষার্থী শিক্ষক হিসেবে আজ লজ্জিত,  সত্যিই লজ্জিত।সোমবার আবার ক্লাসে যাব, ছাত্র ছাত্রীদের গুডমর্নিং স্যার, কোলাহল আর শব্দের মাঝে হারিয়ে যাবে সব ।শুধু দুটি ছাত্রই আর ক্লাসে যাবেনা এরপর থেকে।হারিয়ে যাবে স্মৃতি থেকে ঠিক যেভাবে আমরা ভুলে গেছি সুদীপ্ত দা কে।
বরুন বাবু আপনার পেশায় আশার যোগ্য সত্যিই কী আমরা?  পেরেছি কী দুই ছাত্রের হত্যার প্রতিবাদ করতে?
উত্তর পেলে আমাকেও জানাবেন।আর না পেলে আয়নায় মুখ দেখবেন না প্লিজ।

1 comment:

  1. পরাধীন পশ্চিমবঙ্গে আর কি আশা করা যায় । ব্রিটিশ শাসনব্যবস্থায় সমস্ত ভারতীয়রা একজোট হয়ে লড়াই করেছিলো । আর আজ ভারতীয়রাই বিভাজিত

    ReplyDelete